বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো: এক পবিত্র অভিজ্ঞতা
বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো মানেই এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এই পুজো শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, শ্রীমা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিতে অনুষ্ঠিত এক পবিত্র আরাধনা। ২০২৫ সালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সপ্তমী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত, মঠের প্রতিটি কোণ যেন এক অন্য রূপে সেজে ওঠে। হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে, যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে এই আনন্দযজ্ঞে শামিল হন। বেলুড় মঠের মূল মন্দিরের সামনে তৈরি হয় বিশাল প্যান্ডেল, যেখানে প্রতিমা স্থাপন করা হয়।
প্রতিমার সামনে চলে মন্ত্রপাঠ, আরতি এবং স্তোত্র পাঠ। স্বামী বিবেকানন্দের প্রবর্তিত কুমারী পুজো এখানে এক বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও, প্রতিদিনের ভোগ বিতরণ, দরিদ্রনারায়ণ সেবা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই পুজোর প্রধান অঙ্গ।
এই বছরও, সম্পূর্ণ পুজোর আয়োজন ছিল সুশৃঙ্খল এবং ভক্তিপূর্ণ। মঠের সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা পুজোর সমস্ত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত বছরগুলিতে কিছু নিয়মকানুন থাকলেও, এই বছর ভক্তরা অনেকটা নির্বিঘ্নেই পুজোয় অংশ নিতে পেরেছেন।
বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো শুধু প্রতিমা দর্শন বা অঞ্জলি দেওয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, এটি মানব সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানকার পুজোয় মা দুর্গা যেন ভক্তদের মাঝে সেবার রূপেই বিরাজ করেন। তাই, এই পুজো এক ঐশ্বরিক এবং মানবিক অনুভূতির মিশ্রণ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন